দুনিয়ার হায়াত কিভাবে কাটাবে? কিতাবুস-সুন্নাহ মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক সাহেব দাঃবাঃ
দুনিয়ার হায়াত কিভাবে কাটাবে?
প্রত্যেকের জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলে পরিপূর্ণরূপে আঞ্জাম দেয়া খুবই জরুরী। কেননা, উক্ত কাজগুলোই দীনের সারমর্ম।
(ক) নিজের, ইমান-আকীদা সহীহ ও মজবুত করা, কুফরী-শিরকী বিশ্বাস থেকে অন্তরকে পাক রাখা।
(খ) ইবাদত বন্দেগী এবং তা আমলী মশকের মাধ্যমে অবশ্যই কোনো হক্কানি আলেম এর থেকে শিখে নেওয়া।
(গ) রিযিকের হালাল রাখার ফিকির করা।
(ঘ) আরো কর্তব্য হচ্ছে - মা-বাপ, স্ত্রী সন্তান তথা বান্দার হকের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা, যেন কারো হক যিম্মায় না থেকে যায়। কারন এর পরিনতি হবে ভয়াবহ । হাশরের ময়দানে পাওনাদরকে নেকী দিয়ে তার পাওনা পরিশোধ করতে হবে। যদি তাকে দেয়ার মত নেকী না থাকে বা পাওয়ানা পরিশোধ করতে যেয়ে নেকী শেষ হয়ে যায়, তাহলে পাওনাদারের গোনাহের বোঝা নিজে কাঁধে নিতে হবে এবং শেষে নেকীশূন্য অবস্থায় গুনাহের বোঝা নিজের কাঁধে নিয়ে দোযখে যেতে হবে। হাদীস শরীফে এ ধরনের লোকদেরকে আসল মিসকিন বলা হয়েছে। সুতরাং সারা জীবন এ সব ব্যাপারে তৎপর থাকতে হবে । কারো নিকট ঋণী থাকলে সাথে সাথে খাতা বা ডায়রীতে লিখে রাখতে হয় এবং পরিশোধের জন্য ব্যতিবস্ত থেকে যখনই ব্যবস্থা হয়, সেই মুহূর্তে পাওনাদারের সাথে যোগাযোগ করে তার থেকে পাওনা পরিশোধের সময় বৃদ্ধি করে নেওয়া কর্তব্য। মূর্খ লোকেরা অযথা লজ্জা করে তার থেকে দূরে দূরে থেকে অপরাধী ও হক নষ্টকারী প্রমানিত হয়। ( বুখারী, হাদীস নং ২৪৪৯; মুসলিম শরিফ, হাদীস নং ২৫৮১)
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
(ঙ) নিজের আত্মার রোগের চিকিৎসার জন্য এবং অন্তরের ভলো গুন সমূহ অর্জনের জন্য কোন হক্কানী বুযুর্গের সাথে সম্পর্ক রাখা।
(চ) গুনাহে কবীরা, হারাম, মাকরূমে তাহরীমী ও সন্দেহজনক মনে হয় এমন জিনিস থেকে কঠোর ভাবে বিরত থাকা৷
(ছ) নিজের পরিবারের লোকজন, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও মহল্লাবাসী লোকদেরকে সর্বদা দ্বীনের তা'লীম দিতে থাকা। সারকথা আল্লাহর দ্বীনের জন্য প্রতিদিন কিছু সময় ব্যয় করা।
বিশেষ কথাঃ এই হাদীস টি সম্পূর্ণ আমাদের সবার প্রানপ্রিয় শায়েখ মুফতি মনসূরুল হক সাহেব দাঃবাঃ এর লিখা কিতাবুস-সুন্নাহ কিতাব থেকে নেওয়া। আমরা সবাই ইনশাআল্লাহ হযরতের জন্য দোয়া করব। কিতাব টির মূল্য - ১৪০ টাকা মাত্র । যেকোনো ইসলামিক পাঠগার থেকে সংগ্রহ করতে পারেন,ইনশাআল্লাহ।
আরও দুটি হাদীস।