মহিলাদের পর্দা করার সময় ও পরিমাণ। পর্দা সংক্রান্ত জরুরী মাসায়িল। কিতাবুস সুন্নাহ। ২০২২
মহিলাদের পর্দা করার সময় ও পরিমাণ
মেয়েরা যখন কারীবুল বুলুগ বা বালেগা হওয়ার কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে ; অর্থাৎ, তারা নিজেরা কামভাব অনুধাবন করতে পারে এবং তাদের দিকে তাকালে অন্য পুরুষের মনে কামভাব সৃষ্টি হয়, তখন থেকেই তাদের জন্য পর্দা করা জরুরী হয়ে পড়ে। (আহসানুল ফাতাওয়া, ৮; ৩৭)
পর্দা সংক্রান্ত জরুরী মাসায়িল
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদুল মিল্লাত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার জবান থেকে এ কথা বলেন যে, গায়র মাহরাম মানে হলো,অনাত্মীয় হলে তাদের থেকে সাত বছর পূর্ব হতেই পর্দা করা উচিত এবং গায়র মাহরাম মানে হচ্ছে যে আত্মীয় হলে সাত বছর থেকেই মেয়েদের পর্দা করা উচিত (আবশ্যক) । কারন, অনেক ক্ষেত্রে সাবালিকা মহিলা সামনে আসা-যাওয়া করাতে এ পরিমাণ ফিতনার আশংকা থাকে না, যে পরিমাণ আশংকা থাকে কারীবুল বুলুগ মেয়েদের সামনে আসা-যাওয়া কারতে। (ইসলাহে খাওয়াতীন, ৩৭২)
মেয়েদের পর্দার পরিমাণ বা ক্ষেত্র দুটিঃ
এক. মাহরাম পুরুষ যথা বাপ, ভাই প্রমুখ হতে পর্দা করা। দুই গায়র মাহরাম পুরুষ যথা চাচাত ভাই, খালাত ভাই ইত্যাদি হতে পর্দা করা। মেয়েদের পরস্পর পর্দা বা সতর যতটুকু পরিমাণ সহ পেট ও পিঠ ঢেকে রাখতে হবে। অর্থাৎ, মাহরাম পুরুষ বাপ, ভাই, ছেলে, ইত্যাদি হতে পুরা শরীর ঢাকা যেমন ফরয নয় তেমনিভাবে পূর্ণ শরীর খোলারও অবকাশ নেই; বরং পেঠ পিঠসহ নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা জরুরী। অবশিষ্ট অংশ মাহরাম থেকে ঢাকা জরুরূ নয়। (ফাতাওয়া মাহ্ মুদিয়া, ৬ঃ ৩৭৪, ৫ঃ ২১১২)
উল্লেখ্য, প্রথম যমানায় প্রয়োজনের ক্ষেত্রে মহিলাদের মুখমণ্ডল ও দু হাতের কব্জি, পায়ের তলা খোলা রাখা তথা পার্দা না করারও অবকাশ ছিল। কিন্তু ফিতনার যমানা হিসাবে উলামায়ে মুতাআখখিরীনের ফাতাওয়া অনুযায়ী পর পুরুষদের সামনে মহিলাদের সম্পূর্ণ শরীর ভালভাবে ঢেকে রাখা জরুরী । ( ফাতাওয়ায়ে রাহীমিয়া, ৪ঃ১০৬, কিফায়তুল মুফতী, ৫ঃ৩৮৮)
বিঃদ্রঃ হাদিস টি মুফতি মনসূরুল হক সাহেব দাঃবাঃ এর লিখা কিতাবুস-সুন্নাহ থেকে নেওয়া হয়েছে, কোনো ভুলত্রটি হলে অবশ্যই আপনাদের সাহায্য কামনা করছি। ধন্যবাদ।
আমাদের আরও ব্লগ গুলোঃ