chemistry bangla pdf chemistry bangladesh 2022
chemistry bangla pdf chemistry bangladesh
পৃথিবী আমাদের বাসভূবন। সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীতে প্রাণ আছে। পৃথিবীর পরিবেশ জীবের বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু আমরা এটা হইতো জানিনা যে, আমাদের চোখের সামনে বা আড়ালে, আমাদের চারপাশে প্রকৃতিতে অহরহ অনেক বিক্রয়া ঘটে চলেছে। আবার অনেক সময় আমরা আমাদের প্রয়োজন মেটাতে অনেক বিক্রয়া ঘটাচ্ছি। আমাদের জীবনে এটি একটি স্বভাবিক বিষয়।কোনো কোনো বিক্রিয়া হয়তো আমাদের দেহের কার্যপ্রণালি বজায় রাখার জন্য ঘটছে। সকল শক্তির উৎস হচ্ছে সূর্য।
chemistry bangladesh 2022
এই শক্তি রাসায়নিক বিক্রয়ায় নানাভাবে পরিবর্তিত হয়ে পৃথিবীতে আসছে। আমরা জানি উদ্ভিদই একমাত্র সূর্যের আলোতে থাকা শক্তি রাসায়নিক ভাবে গ্রহণ করতে পারে। উদ্ভিদ সূর্যের আলোর সাহায্যে,; পাতায় থাকা ক্লোরোফিলের সাহায্যে, বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন করতে পারে। এই প্রক্রিয়াটিকে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বলা হয়। সূর্যের আলো থেকে প্রাপ্ত শক্তি উদ্ভিদ তার মাঝে সংরক্ষণ করে রাখে। আমরা কোনো না কোনো ভাবে অবশ্যই খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। আমার দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু খাদ্য হিসেবে গ্রহন করি যেমন, ভাত,রুটি,শাক-সবজি সবকিছু উদ্ভিদ থেকে আমরা পেয়ে থাকি। তবে এসব রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন দ্রব্যের সাথে কিছু স্বাস্থ্যহানীকর পদার্থের সৃষ্টি হচ্ছে। আবার বিক্রিয়কের একটি অংশ অপরিবর্তিতও থেকে যেতে পারে। এগুলো আমাদের পরিবেশের উপর মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে। এতে পরিবেশের প্রধান উপাদান মাটি,পানি,বায়ু দূষিত হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন শিল্প কারখানা থেকে প্রচুর পরিমানে বিষাক্ত গ্যাস নিঃস্বরণ হচ্ছে। এর জন্য বায়ুমন্ডলে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক; এলাকার বরফ গলতে শুরু করেছে। ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই জান্য অনেক নিচু এলাকা দিন দিন পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে পৃথিবীতে ফসলের জমির আয়তন দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। ধারনা করা হয় এরুপ আবস্থা চলতে থাকলে আগামী একশ বৎসর পর পৃথিবী ভয়ংকর হুমকির মুখে পরতে পারে। জমির পরিমান কমার জন্য অল্প জমিতে অধিক ফসল ফলাতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে পরিবেশ দূষনের ফলে আমরা সবাই নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হচ্ছি। আমাদেরকে এখনই এই সমন্ধে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সুতরাং শিল্পকারখানা এমন করে তৈরি করতে হবে যেন দূষন সৃষ্টি করে এমন পদার্থ যেন উৎপন্ন না হয়। অর্থাৎ সবাই দূষন যেখানে উৎপন্ন হয় সেখানেই যেন প্রতিহত হয় তা নিশ্চত করতে হবে।বলা যায় প্রতিরোধের চাইতে প্রতিকারই উত্তম। আবার পরিকল্পিত ভাবে রসায়ন ব্যবহার করলে এবং সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে অনেক উন্নতি সাধিত হবে। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা যাবে। আবার জেনেটিক ইনজেরিয়ানিং ব্যবহার করে উন্নত জাতের বীজ উদ্ভাবন করা যায়। এর ফলে অল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন করা যাবে। সার্বিক ভাবে বলা যায় রসায়নের পরিকল্পিত ব্যবহার করলে আমরা আরও অনেক অসাধ্যকেও সাধন করতে পরব।
Thats it.
Post By Md Sayem